শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১১

চলনবিলে মাছ স্বল্পতায় শুটকির উৎপাদন ক্রমেই কমে আসছে



বড়াইগ্রাম নিউজ:নাটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত চলনবিলে বর্তমানে মাছ স্বল্পতায় শুটকির উৎপাদন ক্রমেই কমে আসছে। হাজার হাজার মানুষ জীবন জীবিকার সন্ধানে নৌকা দিয়ে চলনবিলের মাছ ধরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। এলাকার মাছ মানুষের চাহিদা মেটানোর পর অবশিষ্ট মাছ বিলপাড়ের মানুষ শুঁটকি তৈরি করে রাখত। কিন্তু বর্তমানে চলনবিলে আগের মতো মাছ না পাওয়ায় শুঁটকিও তেমন তৈরি হচ্ছে না।
জানা যায়, ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ এই প্রবাদটি এক সময় চলনবিলের মানুষের মুখে মুখে শোনা যেত। এক সময় মাছ, পাখি আর মাছের শস্যভাণ্ডার বলা হতো এই চলনবিলকে। পানি আর মাছ সমান তালে ছিল চলনবিলে। চলনবিল পাড়ের মানুষ সারাবছর মাছ ধরে খেত। কালের পরিক্রমায় অনেক কিছুই চলনবিল থেকে হারিয়ে গেছে। বর্তমানে সার, কিটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের কারণে অনেক মাছ চলনবিল থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাছাড়া নানা উপকরণ দিয়ে মাছ ধরা ও মা মাছ বেশি ধরার কারণে মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। মৎস্যভাণ্ডার খ্যাত চলনবিলে মিঠা পানির সুস্বাদু মাছের পাশাপাশি শুঁটকি উৎপাদন ও ব্যাপক চাহিদা ছিল দেশ-বিদেশে। বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু করে ৪/৫ মাস চলনবিলে প্রায় ২ শতাধিক শুঁটকি মাছের চাতাল তৈরি করে এক শ্রেণীর মানুষ শুঁটকি বিক্রয় করে প্রচুর টাকা আয় করত। চলনবিলের বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, ফরিদপুর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, সিংড়া, আত্রাই উপজেলার বিলে শতশত শুঁটকির চাতালে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকার শুঁটকি উৎপাদন হতো এবং শুঁটকির চাতালে শত শত নারী -পুরুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। সেই সময় মাছের দাম তুলনামূলক কম ছিল। কিন্তু আগের মতো আর মাছও নেই শুঁটকিও তেমন তৈরি হয় না। দিন দিন মাছের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে শুঁটকির জন্য প্রয়োজনীয় মাছ না পাওয়ায় চাতালের সংখ্যাও কমে আসতে শুরু করেছে।

৭০ কৃতি শিক্ষার্থীর সংবর্ধনা

বড়াইগ্রামের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের  প্রতিবছর বৃত্তি দেবে শ্যামল বাংলা ট্রাষ্ট
বড়াইগ্রাম নিউজ:  শুক্রবার শ্যামল বাংলা ট্রাষ্ট  বড়াইগ্রামের ৫১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিয়েছে। বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল সেন্ট লুইস স্কুল মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে বনপাড়া সেন্ট যোসেফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরপদ মন্ডলকে উপজেরার শেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ষ্ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান শ্যামল হিলারিউস কস্তার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রাষ্টের ভাইস চেয়ারম্যান রাফায়েল পালমা, সেক্রেটারী জেনারেল খ্রীষ্টফার ডি’কস্তা প্রমূখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্যামল বাংলা ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে বড়াইগ্রাম উপজেলার ৩৭টি স্কুল ও ১৪টি কলেজের ২০১০ সালের গোল্ডেন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৭০ জন ছাত্রছাত্রীকে ক্রেষ্ট, ব্যাগ ও নগদ অর্থ প্রদান করে সংবর্ধনা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামল বাংলা ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান শ্যামল হিলারিউস কস্তা বলেন, বড়াইগ্রামের প্রত্যান্ত এলাকার স্কুল, কলেজের শিক্ষার গতিকে বেগবান করাই তাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপশি স্বাস্থ্য ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে এ সংগঠন। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় বড়াইগ্রামের ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোষ্টেল নির্মান, বড়াইগ্রামের জোনাইলে পাবলিক লাইব্রেরী, সংগীত একাডেমি, ব্যামাগার ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী বছর থেকে বড়াইগ্রামের দরিদ্র ও মেধাবী ২২ শিক্ষার্থীকে তাদের তহবিল থেকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠান শেষে কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর, রিজিয়া পারভীনসহ দেশবরেণ্য শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে গান পরিবেশন করেন।

বড়াইগ্রাম মাতালনে এন্ড্রু কশিোর ও রজিয়িা



নাটোররে বড়াইগ্রামরে সঙ্গীতপ্রমেীদরে হূদয়কে মাতয়িে গলেনে দশেরে প্রথতিযশা দুই কণ্ঠশল্পিী এন্ড্রু কশিোর ও রজিয়িা পারভীন। প্রচন্ড কুয়াশা ও তীব্র শীতকে ছাপয়িে শুক্রবার রাতে এ দুই তারকা শল্পিী তাদরে কণ্ঠরে যাদুতে সঙ্গীতপ্রমেীদরে হূদয়কে জয় করছেনে।
গত শুক্রবার বকিালে চলনবলি খ্যাত বড়াইগ্রামরে প্রত্যন্ত অঞ্চল জোনাইল সন্টে লুইস উচ্চ বদ্যিালয় মাঠে শ্যামল বাংলা ট্রাস্টরে উদ্যোগে কৃতি ছাত্র-ছাত্রী সংর্বধণা অনুষ্ঠান শষেে আয়োজতি সাংস্কৃতকি সন্ধ্যায় দশেরে অন্যতম প্রধান এ দুই শল্পিী গান পরবিশেন করনে। বকিাল থকেে চলা এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বড়াইগ্রাম উপজলো নর্বিাহী র্কমর্কতা মামুনুর রশীদ, বড়াইগ্রাম উপজলো চয়োরম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান আতা, জলো শক্ষিা অফসিার ইব্রাহমি খললিুলস্নাহ, শ্যামল বাংলা ট্রাস্টরে সভাপতি শ্যামল ডি কস্তাসহ বরণ্যে ব্যক্তর্বিগ উপ্স্থিত ছলিনে। পরে সন্ধ্যায় আয়োজতি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতকি অনুষ্ঠানে সংগীত পরবিশেন করনে বাংলা গানরে কংিবদন্তী কণ্ঠশল্পিী এন্ড্রু কশিোর এবং রজিয়িা পারভীন। উপস্থাপকিা ইশরাত জাহান পায়লে ও যাদুকর প্রন্সিরে নান্দনকি উপস্থাপনায় কণ্ঠশল্পিী এন্ড্রু কশিোর তার অর্পূব সুররে মুচ্র্ছনায় গ্রামরে গান সঙ্গীতপ্রমেীদরে হূদয়কে মাতয়িে তোলনে। 'বাবার মুখে প্রথম যদেনি শুনছেলিাম গান', 'ডাক দয়িাছনে দয়াল আমার'ে, 'পড়ে না চোখরে পলক', 'হায়রে মানুষ রঙনি ফানুস' সহ একে একে ৭টি গান গয়েে অনুষ্ঠানস্থলকে উজ্জীবতি করে তোলনে তনি।ি অপরদকিে কণ্ঠ শল্পিী রজিয়িা পারভীন 'সবার জীবনে প্রমে আস'ে, 'কৃষ্ণ আইলো রাধার কুঞ্জ'ে, 'ইস্টশিনরে রলে গাড়টিা', 'যদি বউ সাজোগো', 'চুপি চুপি বলো কউে জনেে যাব'ে, 'ধুম মাচাল'ে সহ ৮টি বাংলা ও হন্দিী গানে পুরো অনুষ্ঠান নাচয়িে তোলনে। শল্পিীর গানরে তালে তালে র্দশকদরে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস সামাল দতিে আইন-শৃঙ্খলা বাহনিীর সদস্যদরে রীতমিত হমিশমি খতেে হয়ছে।ে সবশষেে এন্ড্রু কশিোর ও রজিয়িা পারভীনরে দ্বতৈ কণ্ঠে গাওয়া আমার 'গরুর গাড়ীতে বউ সাজয়ি'ে, 'বদেরে ময়েে জোৎস্না আমায় কথা দয়িছে'ে এবং 'একবন্দিু ভালোবাসা দাও আমি এক সন্ধিু হূদয় দবেো' গান তনিটি যখন চলছলিো তখন র্দশকরা ফরিে যান অন্যরকম আবহ।ে

নাব্যতা হারিয়ে বড়াল এখন ফসরের মাঠ


 বড়াইগ্রাম িনউজ : 
এককালের খরস্রোতা বড়াল নদী নাব্যতা হারিয়ে বর্তমানে পুরোদস্তুর ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। নদীর বুকজুড়ে ধান, সরিষা ও রসুনের আবাদ করা হচ্ছে। এক সময় যে বড়ালের পানি সেচে নদীতীরবর্তী মানুষ তাদের জমিতে ফসল ফলাতো, বর্তমানে খোদ সে নদীর বুকেই অগভীর নলকুপ (শ্যালো মেশিন) বসিয়ে চলছে ধান চাষ।
রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মার শাখা হিসাবে উৎপন্ন হয়ে বড়াল নদী পুঠিয়া, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, চাটমোহর, ভাঙ্গুরা ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্যদিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়াসাগরের বুকে মিশে নাকালিয়ায় যমুনায় পড়েছে। লেখক প্রমথনাথ বিশী লিখেছেন, মুর্শিদাবাদ থেকে নদীপথে ঢাকায় আসার সংক্ষিপ্ত পথ হওয়ার কারণে তৎকালীন নবাব-বাদশাহরা এ পথেই যাতায়াত করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজিংসহ নদীটি রক্ষায় সরকারীভাবে কোন উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো বড়ালের উৎসমুখসহ বিভিন্ন স্থানে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ ও যাতায়াতের জন্য নদীর বুক চিড়ে রাস্তা নির্মাণ করে নদীরর পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ রুদ্ধ করে দেয়ায় ঐতিহ্যবাহী বড়াল এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। সরকারী নজরদারি না থাকায় ভূমিদস্যুরা মাটি ভরাট করে দখল করে নিয়েছে নদীর দুই পাড়। পাশাপাশি স্রোত না থাকায় নদীর বুকজুরে পলি জমে এর গভীরতা কমে গেছে। এ কারণে নদী দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে উভয় দিকেই শীর্ণ হয়ে গেছে। বর্ষায় নদীতে কিছু পানি জমলেও কার্তিক আসতে না আসতেই আবার তা শুকিয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। একসময় যোগাযোগ সুবিধার কারণেই বড়াল নদীর দুই পাড়ে বড়াইগ্রাম থানা ভবন, লক্ষীকোল বাজার, জোনাইল বাজার, চাটমোহর, ভাঙ্গুরা, ফরিদপুরের মতো বিভিন্ন হাটবাজার গড়ে উঠেছিল। জীবিকার প্রয়োজনে নদীসংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য জেলে পল্লী গড়ে উঠেছিল। ছোট বড় নানা জাতের মাছ ছিল এ নদীতে। কিন্তু ১৯৮১-৮২ অর্থবচরে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীতীরবর্তী উপজেলা গুলোকে তথাকথিত বন্যামুক্ত করার জন্য রাজশাহীর চারঘাটে বড়ালের উৎসমুখে বাঁধ দিয়ে নদীতে পানির স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বস্ধ করে দেয়। পরে বড়াইগ্রাম উপজেরার ধামানিয়াপাড়া ও রয়না মোড়ে দু’টি বক্স কালভার্ট, চাটমোহরের নুননগরে স্লুইসগেট এবং একই উপজেলার নতুন বাজার, বোথর ও রামনগরে নদীর বুক চিড়ে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন স্থানে স্লুইসগেট ও বাঁধ নির্মানের ফলে ক্রমান্বয়ে বড়াল এখন শুকিয়ে শীর্ণ খালে পরিণত হয়েছে। বড়াল নদীতে পানি না থাকায় এখন নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আর এ সুযোগে শুষ্ক মৌসুমে এলাকার কৃষকরা নদীর বুকজুড়ে ধান, রসুন, শরিষাসহ নানা আবাদ করছেন। নদীতে পানি না থাকায় এ নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ব্যবসা-বানিজ্যের কেন্দ্রগুলো কালক্রমে ম্রিয়মাণ হয়ে উঠছে। সেচসহ প্রাত্যাহিক প্রয়োজনে অতিরিক্ত মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করায় ভূগর্ভের পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। অচিরেই বড়ালসহ আশপাশের নদীগুলো পূনঃখনন বা সংস্কার না করলে ভবিষ্যতে এ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানিরও অভাব দেখা দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


বড়াইগ্রাম পৌরসভায় যারা নির্বাচিত হলেন

বড়াইগ্রাম  নিউজ :
নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভা নির্বাচন ২০১১ বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল শতস্ফুর্ত । শান্তিপূর্ণ ভাবে পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ১১ হাজর ২১৩ জন ভোটারের শতকরা  ৯০ ভাগের অধিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বড়াইগ্রামের ইউএনও ও রিটার্ণিং অফিসার মো. মামুনুর রশীদ জানান, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত মো. ইসাহাক আলী (আনারস) মোট ৪ হাজার ৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির অ্যাডভোকেট শরীফুল হক মুক্তা (দোয়াতকলম) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৫ ভোট এবং মহাজোটের প্রার্থী হাজী শের আলী (চশমা) পেয়েছেন ২ হাজার ৪০০ ও মো. রফিকুল বারী ১৭ ভোট।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ১নং আসনে ফেরদৌসী বেগম (কলস) ২ হাজর ৫৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেলেনা বেগম (টিউবয়েল)পেয়েছেন ৮৮১ ভোট। ২নং আসনে চায়না বেগম (টিউবয়েল) ১ হাজার ৬৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনারা বেগম (পদ্মফুল) পেয়েছেন ৮১২ ভোট। ৩নং আসনে রাণী বেগম (টিউবয়েল) ১ হাজার ৪৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকিয়া (বই) পেয়েছেন ১ হাজার ১৯৭ ভোট।
সাধারণ কাউন্সিলরের ১ নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুল বাতেন সরকার মহরম (মোরগ) ৪৮৩ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুল করিম (ফুটবল) ২৮৩, ২ নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুল বারেক (মোরগ) ৮২৫ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ রানা (ফুটবল) ৪৫৩, ৩ নং ওয়ার্ডে মো. আনোয়ার হোসেন (হরিণ) ৩৫১ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসমাইল (মোরগ) ৩১৮, ৪ নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুস সাত্তার (হরিণ) ৩৩৭ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আঃ আজিজ (ঘুড়ি) ২১৭, ৫ নং ওয়ার্ডে মো. শফিকুল আলম (আ’লীগ)(হরিণ) ৩৪৭ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান (চাঁদ) ২৪৮, ৬ নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুল জব্বার ( ফুটবল) ৩৯৯ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মশিউর রহমান (মোরগ) ৩৮৭, ৭ নং ওয়ার্ডে মো. মোবারক হোসেন টিপু (হরিণ) ৩৬৯ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল আমিন রতন (ফুটবল) ৩৩৫, ৮ নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুর রউফ (হরিণ) ৪৮৪ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু জাফর ( ঘুড়ি) ৪২৩ এবং ৯ নং ওয়ার্ডে মো. আব্দুল মোতালেব (ঘুড়ি) ২৫৯ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াজেদ আলী (হরিণ) ২১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত এবারের নির্বাচনে মেয়রপদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র মো. ইসহাক আলী, অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটার, রির্টার্ণিং অফিসারসহ নির্বাচন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

বনপাড়ায় জমে উঠেছে দেশের সর্ববৃহত কুল আড়ৎ


বড়াইগ্রাম নিউজ :
জমে উঠেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢাকা- নাটোর মহাসড়কের বনপাড়া বাইপাস মোড়ে গড়ে ওঠা দেশের সর্ব বৃহত কুল আড়ত। এখানে চলতি মৌসুমে পাঁচ থেকে ছয়কোটি টাকার কুল বেচা-কেনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সমগ্র নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা,  রাজশাহী ও  চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর বাগান থেকে কুল আসে বনপাড়ার কুল আড়তে।
বুধবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বনপাড়ার কুল আড়তে নানা জেলা থেকে শতাধিক কুল চাষি কুল নিয়ে হাজির। ক্রেতা-বিক্রেতা দর কষছেন, হচ্ছে বেচা-কেনা। বিভিন্ন কুল আড়তে কর্মচারীরা কুল বাছাই করে মান অনুসারে প্যাকেট করছেন। সেই প্যাকেট পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার ৩০টি আড়ৎ নিয়ে জমে উঠেছে বনপাড়ার কুল বাজার।
জঙ্গলবাবা ফল ভান্ডারের আড়তদার শাহাদৎ হোসেন জানান, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে আপেল, থাই ও বাউ কুল চাষিরা তাদের উৎপাদিত কুল এই আড়তে নিয়ে আসেন। পাইকাররাও অনেক সময় সরাসরি বাগান থেকে কুল কেনেন। এ বাজারের কুল ওজনের পর প্যাকেট হয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের নিকট থেকেই কমিশন পান আড়তদাররা।  বর্তমানে প্রতিমন বাউকুল মান অনুসারে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং আপেল কুল ২ হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা মন দরে বেচা-কেনা হচ্ছে। তিনি আরো জানান এ বাজারে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ট্রাক কুল বেচা-কেনা হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কুলচাষী ডাঃ বাবু বলেন, বনপাড়া কুল আড়তে কুল বেচা-কেনায় কোন সমস্যা নাই। কিন্তু এখানে আসা যাওয়ার পথে দাশুড়িয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টরা নিয়মিত চাঁদা নেয়। এটা আমাদের জন্য কষ্টকর। 
চাটমোহরের ধুলাউড়ি গ্রামের কুল চাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি ৬ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছি। বনপাড়ায় কুল আড়ত হওয়ায় খুব সহজেই কুল বিক্রি করতে পারছি। অনেক বেশী ক্রেতা থাকায় নেয্য দামটাও পাওয়া যায়।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মোহা. খয়ের উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে স্থানীয় কুল চাষি জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগে বনপাড়ায় এই কুল বাজার গড়ে ওঠে। গত বছর এখানে ৪ কোটি টাকার মতো বেচাকেনা হয়েছিল। এ বছর পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি ।