জমে উঠেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ঢাকা- নাটোর মহাসড়কের বনপাড়া বাইপাস মোড়ে গড়ে ওঠা দেশের সর্ব বৃহত কুল আড়ত। এখানে চলতি মৌসুমে পাঁচ থেকে ছয়কোটি টাকার কুল বেচা-কেনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সমগ্র নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর বাগান থেকে কুল আসে বনপাড়ার কুল আড়তে।
বুধবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, বনপাড়ার কুল আড়তে নানা জেলা থেকে শতাধিক কুল চাষি কুল নিয়ে হাজির। ক্রেতা-বিক্রেতা দর কষছেন, হচ্ছে বেচা-কেনা। বিভিন্ন কুল আড়তে কর্মচারীরা কুল বাছাই করে মান অনুসারে প্যাকেট করছেন। সেই প্যাকেট পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার ৩০টি আড়ৎ নিয়ে জমে উঠেছে বনপাড়ার কুল বাজার।
জঙ্গলবাবা ফল ভান্ডারের আড়তদার শাহাদৎ হোসেন জানান, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে আপেল, থাই ও বাউ কুল চাষিরা তাদের উৎপাদিত কুল এই আড়তে নিয়ে আসেন। পাইকাররাও অনেক সময় সরাসরি বাগান থেকে কুল কেনেন। এ বাজারের কুল ওজনের পর প্যাকেট হয়ে চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের নিকট থেকেই কমিশন পান আড়তদাররা। বর্তমানে প্রতিমন বাউকুল মান অনুসারে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং আপেল কুল ২ হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা মন দরে বেচা-কেনা হচ্ছে। তিনি আরো জানান এ বাজারে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ ট্রাক কুল বেচা-কেনা হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কুলচাষী ডাঃ বাবু বলেন, বনপাড়া কুল আড়তে কুল বেচা-কেনায় কোন সমস্যা নাই। কিন্তু এখানে আসা যাওয়ার পথে দাশুড়িয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টরা নিয়মিত চাঁদা নেয়। এটা আমাদের জন্য কষ্টকর।
চাটমোহরের ধুলাউড়ি গ্রামের কুল চাষি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি ৬ বিঘা জমিতে কুল চাষ করেছি। বনপাড়ায় কুল আড়ত হওয়ায় খুব সহজেই কুল বিক্রি করতে পারছি। অনেক বেশী ক্রেতা থাকায় নেয্য দামটাও পাওয়া যায়।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মোহা. খয়ের উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে স্থানীয় কুল চাষি জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগে বনপাড়ায় এই কুল বাজার গড়ে ওঠে। গত বছর এখানে ৪ কোটি টাকার মতো বেচাকেনা হয়েছিল। এ বছর পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন