শনিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১১

ঘুরে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নানা তৎপরতা

শ্রদ্ধেয় সম্পাদক সাহেব,
সালাম জানবেন,আশা নয় বিশ্বাস ভালো আছেন। যা হোক ফেসবুকে বড়াইগ্রাম সংবাদ দেখুন ওয়েবসাইডটি খুলে দেখলাম বেশ ভাল লাগল,আনন্দিত হলাম। আপনার অভিযাত্রাকে স্বাগত জানাই।  যা হোক বেবি কেমন আছে? ভাবীকে সালাম জানাবেন,ঢাকায় আসলে দেখা করবেন। প্রেরিত নিউজ  সাইটে ছাড়ার মত হলে ছাড়বেন। জাতীয় কোন নিউজ কি ছাপা হবেনা? আমার মনে হয়,স্থানীয় নিউজের পাশাপাশি জাতীয় নিউজ গুলো ছাপানো যেতে পারে। ভাল থাকবেন।
রনি,২২.১.১১


ঘুরে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নানা তৎপরতা
রফিকুল ইসলাম রনি, ঢাকা : পৌর নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে সাংগঠনিক  দূর্বলতা ,দলীয় কোন্দল,মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থী সক্রিয় থাকায় আশানুরুপ ফলাফল না পাওয়ায় আট-ঘাঁট বেঁধে সাংগঠনিক তৎপরতা চালাতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ফলাফল বিপর্যয়ের ফলে সাংগঠনিক সম্পাদকদের উপর  ক্ষোভও প্রকাশ করেছে দলীয় হাইকমান্ড। সাংগঠনিক সম্পাদক নিজেরাও ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে বলেছেন, তারা শত চেষ্টা করেও বিদ্রোহীদের থামাতে পারে নি।
দলের বিভিন্নস্তরের নেতারা মনে করেন, পৌরসভা নির্বাচনে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।  আশাতীত জয় পেয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। মেয়র পদে ঢালাও পরাজয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। মহাজোটের নেতারাও হতাশ নির্বাচনের এমন ফলাফলে। মহাজোটের অন্যতম শরীকদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানও এ ফলাফলকে মহাজোটের জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছন। সাত বিভাগের নির্বাচনী ফলে  বিদ্রোহী প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও তৃণমূল  নেতাকর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ফলকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না তারা। দলীয় নেতাকর্মীরা একে সতর্কবার্তা মনে করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, পৌর নির্র্বাচন মূলত স্থানীয় নির্বাচন, দল-মত নির্বিশেষে লোকজন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়। সেখানে কোন রাজনীতিক জনপ্রিয়তা প্রতিফলিত হয় না। তারপরও যেহেতু এবার দলীয়ভাবে সমর্থন দেয়া হয়েছে, দলীয়ভাবে বসে এর কারণ খুঁজে বের করে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, পৌর নির্বাচন আওয়ামী লীগের সর্তক সংকেত আমাদের সময় হয়েছে ভুল সংশোধন করার। তিনি বলেন, ‘ইট ইজ এ্যা ওয়েক-আপ কল ফর আস’। তাই খুব শিগগিরিই তৃর্নমুল থেকে দল গোছানোর পরিকল্পনা করা হবে। যেহেতু এই সরকারের হাতে এখনো তিন বছর সময় আছে সেহেতু এ এসব সমস্যা সমাধানে তেমন বেগ পেতে হবে না। সব কিছু  খুব কম সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি জানান। সাংগঠনিক সম্পাদকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পৌর নির্বাচনের এই সাংগঠনিক ব্যর্থতা ঘুঁচিয়ে নতুন করে তৃণমূল পর্যায় থেকে দল গোছানোর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য নেয়া হচ্ছে  বিভিন্ন পরিকল্পনা। 
সরকার গঠনের দুই বছরের মাথায় এমন জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ খুঁজে পাচ্ছেনা নীতি নির্ধারকেরা। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যায়ে দলকে ঢেলে সাজিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এমন বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করেছে দলটি।
সরকারের উচ্চপর্যায় থেকেও জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার কথা স্বীকার করলেও সরকার গঠণের দুই বছরের মাথায় এমন জনপ্রিয়তা হ্রাসের কারণ খুঁজে পাচ্ছেনা নীতি নির্ধারকেরা। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যায়ে দলকে ঢেলে সাজিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উত্তরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। এমন বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করেছে দলটি।
এ অবস্থায় শীর্ষ নেতারা দলের প্রতিটি সাংগঠনিক কাঠামোকে নতুন করে ঢেলে সাজাতে চাইছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই দলটি সাংগঠনিক পূনর্গঠণ কার্যক্রম শুরু করবে । বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, চলতি বছরের মধ্যেই দলের তৃণমূল ও জেলা কাউন্সিল প্রক্রিয়া শেষ করতে চান দলের নেতারা।
এছাড়া সাতটি সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব তুলে আনারও পরিকল্পনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়েছে ৪-৫ বছর আগেই। সর্বশেষ ২০০৩ সালের ২৫ জানুয়ারি যুবলীগ, ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ, একই বছরের ২৯ জুলাই কৃষক লীগ, ২০০৪ সালের ৮ আগষ্ট তাঁতী লীগ, একই বছর ১৫ মার্চ মহিলা যুবলীগ, ২০০০ সালের ১১ মার্চ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, ২০০৩ সালে ৩ জুলাই শ্রমিক লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। গঠণতন্ত্র অনুসারে এ সহযোগী সংগঠন গুলোর মেয়াদ ৩ বছর। এ বছরের শুরুতেই সকল সহোযোগী সংগঠণগুলোর কাউন্সিল শেষ করতে চায় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বিদায়ী বছরে আওয়ামী লীগ অনেক কাজ শুরু করেছিল। যার অনেক গুলোই এখনো শেষ করা যায়নি। পৌর নির্বাচনের জন্য আমরা কোন সাংগঠনিক কাজকর্ম করতে পারি নি। এখন আমরা এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। তিনি বলেন, তাড়াতাড়ি তৃণমুলের কাউন্সিলের মাধ্যমে দল গোছানোর কাজ শুরু হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো শেষ হলে, দলের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কাউন্সিল প্রক্রিয়া শুরু হবে। তৃণমুলের কাউন্সিলের পর শুরু হবে জেলা পর্যায়ের কাউন্সিল। একই সঙ্গে সম্পন্ন হবে সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল। এ বছরের মধ্যেই এসব সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে নীতিগতভাবে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের তৃণমূলের অবস্থা জানতে জেলা নেতাদের সঙ্গে যে ধারাবাহিক বৈঠক গত ডিসেম্বরে শুরু  করেছেন তাও আবার শুরু হবে শীর্ঘই।
দলের প্রচার, প্রকাশনা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে যে কর্মশালা গত বছরে শুরু হয়েছে তাও আবার শুরু হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন  বলেন, দলের প্রচার, প্রকাশনা, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে যে কর্মশালা গত বছরে শুরু হয়েছে তা আবারও শুরু হবে।  ইতিমধ্যে আমাদের তথ্য ও গবেষণা কর্মশালা শুরু হয়েছে যে কয়টি বিভাগ বাদ আছে সে কয়টি বিভাগেও শুরু করা হবে। এর পর তৃণমূল নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শুনে নেত্রীর  দিক নির্দেশনা অনুসারে দলকে ঢেলে সাজানো হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত গঠণ ও মহাজোট সরকারের দুই বছরের সাফল্য তুলে ধরতে এ বছরেই বিভাগীয় পর্যায়ে মহা-সমাবেশ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। এসব সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ  নেবেন বলে নেতারা জানিয়েছেন। এর আগে ৭৩টি সাংগঠনিক জেলাতে সমাবেশ করারও পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত গঠন ও সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে সারা দেশে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন জানান, ২০১০সালে সারা দেশে দলের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সফর কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। গত বছরে তা শেষ হয়নি। এ বছরই এসব কাজ শেষ করা হবে। সঙ্গে থাকবে আরও অনেক নতুন পরিকল্পনা।
দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামীর দিনগুলোতে বিরোধী দলের সাথে সমঝোতা করে চলতে চায় ক্ষমতাসীনরা। সীমান্ত সমস্যা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, তেল, গ্যাস সঙ্কট মোকাবেলা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ট্রানজিটসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিরোধী দলকে মুল্যায়ন করে তাদের সংসদে নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলায়ও মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, মহাজোটের ঐক্য অটুট রেখে শরিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের যথার্থ মূল্যায়নের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন এ দলটি আবারো ঘুরে দাঁড়াতে চায়।
সাংগঠনিক সম্পাদক  আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগের বেশ কিছু সাংগঠনিক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। শুরুতে তৃনমূল থেকে জেলা পর্যায়ের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশপাশি সহযোগি সংগঠন গুলোর কাউন্সিল শেষ করা। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে যা যা করা দরকার সাংগঠনিক বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পৌর নির্বাচনে মহাজোটের সাথে তেমন ঐক্য গড়ে না তুলতে পারলেও আগামীর রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ মহাজোটকে সাথে নিয়েই পথ চলতে চায়। জাতীয় পার্টিসহ মহাজোটের শরিক নেতাদের অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগের একলা চলো নীতির কারণেই সরকার অনেক কাজেই পুরোপুরি সফল হতে পারছে না। একলা চলো নীতির পথ পরিহার করে বাকি তিন বছর মহাজোটকে শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ এবং সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সবকিছু মোকাবেলার উদ্যোগ নেয়া না হলে সরকারকে আরও বড় ধরনের হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলাসহ সবকিছু সুচারুভাবে পরিচালনায় মহাজোটের ঐক্যের ভিতকে শক্তিশালী করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। আওয়ামী লীগ
নেতারা মনে করেন, সামনে অনেক বন্ধুর পথ। তাই মহাজোটের সাথে আরো সুসম্পর্ক গড়ে তোলবে ক্ষমতাসীনরা।
তৃণমূলকে সংগঠিত করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সাথেও তাদের দূরত্ব ঘোঁচাতে চায়। এ জন্য দলীয়ভাবে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যেমে অনেক বিষয়ে শিক্ষা পাওয়া গেছে সে শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অতীতে সরকার এবং দলের মধ্যে যে দুরত্ব তৈরী হয়ে ছিল তা দুর হয়ে যাবে।
সরকারি এ দলটি কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের উপরও ক্ষিপ্ত। বিভিন্ন সময়ে তারা তাদের কাজে গতি আনার পরামর্শও দিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন এনে সিনিয়র নেতাদের দায়িত্বে বসানো হতে পারে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম ও মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও কিছু মন্ত্রীর কাজের সমালোচনা করেছেন। দলের পক্ষ থেকেও কিছু মন্ত্রীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণে পাশে থেকে সাহায্য করতে চায় আওয়ামী লীগ।


উপ-নির্বাচন আওয়ামী লীগের বড় চ্যালেঞ্জ
রফিকুল ইসলাম রনি,ঢাকা: পৌরসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল করতে না পারায় হবিগঞ্জ-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের  উপনির্বাচন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাড়িয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে। ২০০৮ সালে বিপুল ম্যানডেড নিয়ে  আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠনের দু বছরের মাথায় পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। সারাদেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিএনপি’র প্রার্থীদের কাছে বড় ধরনের ধাক্কা খায়। পৌর নির্বাচনের ফলাফল বিপর্যয়ের পর সভানেত্রী সহ দলের নীতিনির্ধারকদের টনক নড়ে। সভানেত্রী ,উদেষ্টারা দফায় দফায় দলের নেতাকর্মিরা সাথে বৈঠক করেছে। আসন্ন ২৭ জানুয়ারী হবিগঞ্জ-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের  উপনির্বাচনে পৌর নির্বাচনের পূনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা এখন এ দুৃটি আসনে দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে মাঠে রয়েছেন।  হবিগঞ্জ-১ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মুসফিক হোসেন চৌধুরী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্রীয় নেতা উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

শনিবার দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ,আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি মাহবুব-উল-আলম হানিফ সহ কেন্দ্রীয় নেতারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ পরিদর্শন ও দলের প্রার্থীকে জয়ী করতে নেতাকর্মিদের সাথে কথা বলেছেন। ইতিমধ্যেই মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং দলের অন্য কয়েকটি অঙ্গসংগঠনের নেতারা দুই নির্বাচনী এলাকায় গেছেন। তারা প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রী যেকোনো মূল্যে উপনির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের উপনির্বাচনে প্রচারে নামার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় সরকারের দুই বছরের কর্মকাণ্ডের বিবরণ জনগণের সামনে তুলে ধরার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মহাজোটগতভাবে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ উদ্যোগ নিলেও মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির পক্ষ   থেকে এখনো এ ব্যাপারে কাঙ্খিত সাড়া মেলেনি। হবিগঞ্জের -১ আসনে জাপার প্রার্থী আবদুল মমিন বাবু প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে রেজাউল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলেও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনের মাঠ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ‘উপনির্বাচনে জয়লাভের জন্য আওয়ামী লীগের তরফ  থেকে সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন।’
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব নির্বাচনের ফল পক্ষে আনার জন্য, তবে জনগণের রায় যাই হোক তা  মেনে নেবে দল।
দলের একাধিক নেতাকর্মিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,পৌর নির্বাচনের বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার পর  এ দুটি উপ-নির্বাচনকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে।


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন